চোঁরের আবার বড় গলা”। ঠিক একই অবস্থা যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর করের

বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে, “চোঁরের আবার বড় গলা”। ঠিক একই অবস্থা যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর করের। পুলিশ বিভাগের দায়িত্ব যেখানে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দান করা এবং অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা সেখানে উল্টো চিত্র যাত্রাবাড়ী থানার এই পুলিশ কর্মকর্তার। অভিযোগ যেন পিছু ছাড়ছে না এই ওসির। একের পর এক অন্যায় অনিয়ম আর সন্ত্রাসীদের সাথে আতাঁত করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি। পুরো যাত্রবাড়ী যেন তারাই রাজ্রপাট। পতিতা থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী চক্র এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে ঘুষ লেনদেন এর একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পাহাড় পরিমান অভিযোগ জমেছে। তবুও তিনি বহাল তবিয়তে যাত্রাবাড়ীর এলাকার অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। বাড়ি তার “গোপালগঞ্জ” বলে কথা তবুও তিনি বিএনপি জামায়েত শিবিরের কর্মীদের সাথে আতাঁত করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।

তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ব্যক্তিদের দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন অপকর্মের হোতাদের সাথে সখ্যতা রেখে ঘুষ বাণিজ্য, অবৈধ ভাবে জমি দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, হোটেল থেকে মাসোয়ারা নেওয়া, মানব পাচারকারীদেরকে সহযোগিতা করানো ও গ্রেফতার বাণিজ্য উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জামায়েত-শিবিরের ও বিএনপির লোকজনের কাছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের জমি দখল করাসহ নানাবিধ অভিযোগের ফুলঝুড়ি। অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও তার লালিত পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা করে আসছে প্রকৃত জমির মালিকদেরকে। অন্যদিকে ওসি অবনী শংকর কর এর চাঁদাবাজি ও অপকর্মের সহায়তা করতো তার আজ্ঞাবহ এস আই মোঃ ইদ্রিছ আলী। কোন মামলার তদন্তে এস আই মোঃ ইদ্রিছ আলী মোটা অংকের টাকা নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বাদী বিবাদী উভয়ের কাছ থেকে ঘুষ নিত এই এসআই। ঘুষের একটি ভাগ যেত অবনী শংকর করের পকেটে। মামলার আসামী ঘুষ না দিলে মোঃ ইদ্রিছ আলী মামলার সাথে নতুন ধারা সংযোজন দিয়ে অভিযোগপত্র গঠন করে আদালতে পাঠাতো যার অনেক নজির রয়েছে। ওসি অবনী শংকর কর এর “ডান হাত” এসআই  মোঃ ইদ্রিছ আলী বর্তমানে মহানগরের (ডিএমপি) শ্যামপুর থানায় কর্মরত রয়েছে। আরেকদিকে ওসি অবনী শংকর কর এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত কয়েক মাস আগে তবুও বহাল তবিয়তে তিনি। এ বিষয়ে আইজিপিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৫ এর যুগ্ন সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৫ এর স্বারক নং-৪৪. ০০. ০০০০. ০৭৮. ০৩. ০৩১. ১৩-৩৯৩।
সূত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানায় অনেক দিন যাবত কর্মরত থাকায় অনেক অপরাধীদের সাথেই বেশ সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে ওসি অবনী। মাদক ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে মানব পাচার কারীদের সাথে তার সখ্যতা রয়েছে। এমনকি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই তিনি যাত্রাবাড়ি এলাকার মৎস্য ভবনের মালিকানাধীন জমি স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছে হস্তানস্তর করে মাদক বিক্রি সিন্ডিকেট করে দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। আরেকদিকে এজাহার ভুক্ত নারী পাচারকারীদেরকে থানায় ধরে নিয়ে আসার পর ছেড়ে দেয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মাসোয়ারার মাধ্যমে নিজের আখের গুছিয়েছে এই ওসি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা যায়,“এইচআরএইচএফ” মানবাধিকার সংস্থার দায়ের করা এজাহারভুক্ত নারী পাচারকারীদের সাথে সুসম্পর্ক ও তাদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগের এবং বিভিন্ন অপরাধীদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার সত্যতা পাওয়ায় এ নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দেশে যখন বর্তমান সরকার আইনশৃখলা উন্নয়নের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে এসকল অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষে চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্ম।
স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা জানান, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর করের অপকর্মের বিরুদ্ধে যদি কোন মানবাধিকার কর্মী প্রতিবাদ জানাত এবং সাংবাদিককেরা কেউ লেখালেখি করতো তাহলে তাদের উপর নেমে আসতো পুলিশি নির্যাতন। কখনো দেয়া হত মিথ্যা মামলার হুমকি আবার কখনো প্রতিবাদকারীদের হতে হত বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের চাঁদার টাকা না পেয়ে ১৮জন চটপটি ও ফুঁসকা বিক্রেতাদের থানায় আটক করে নিয়ে জন প্রতি ২০০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। যা আটকের বিষয়টি থানার সিসি ক্যামেরায় ধারন হয়ে থাকার কথা। যাত্রাবাড়ীতে ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে মাদক ও নারী বাণিজ্যের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট বাসা রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। আর এ সকল প্রতিটি স্পট থেকেই যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী পান মোটা অংকের গোপন উৎকোচ। সরেজমিনে ছদ্মবেশ ধারণকারী প্রতিবেদককে মাদক ও নারী বাণিজ্যের একাধিক সদস্য জানান, মাদক ও নারী বাণিজ্যের প্রতিটি স্পট থেকে থানার ওসিকে সপ্তাহে ২০,০০০ টাকা ও অপারেশন অফিসারকে ১৫,০০০ টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকাধীন আবাসিক হোটেল নামে চলছে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা। গত কয়েকবার হোটেলগুলোতে অনুসন্ধান করে ওসিকে অবহিত করা হলেও ওসি অবনী শংকর কর কোন ব্যবস্থা নেন নি। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, যাত্রাবাড়ী থানায় প্রতি মাসে টাকা দিয়ে চালানো হয় এ ব্যবসা। এছাড়াও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিমাসে দিতে হয় ১০,০০০ টাকা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ীতে মাদক ও নারী পাচারকারীদের সক্রিয় সদস্য রয়েছে প্রায় শতাধিক। নারী পাচারকারীদের পৃথক পৃথক ভাবে যাত্রাবাড়ী থানার বিবির বাগিচা এলাকায় রয়েছে ২০টি ফ্ল্যাটবাসা, কাজলা এলাকায় রয়েছে ৫টি ফ্ল্যাটবাসা, ডলফিন গলির এলাকায় রয়েছে ৫টি ফ্ল্যাটবাসা, কলার আড়ত এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাটবাসা, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি ফ্ল্যাটবাসা, কোনাপাড়া এলাকায় ৫টি ফ্ল্যাটবাসা, ভাঙ্গাপ্রেস এলাকায় ৩টি ও শনির আখড়া এলাকায় ৫টির মত ফ্ল্যাটবাসা রয়েছে। বর্তমানে মাদক ও নারী বাণিজ্যে এ সকল বাসা গুলো নিয়ন্ত্রন করছে, মানিক, ভাঙ্গাপ্রেসের বিপ্লব ও মতিউর, কচি ওরফে ওসির সোর্স কচি, দৈনিক সরেজমিনের সাংবাদিক পরিচয় দানকারী মাদক ও পতিতার শেল্টারদাতা শহিদুল ইসলাম রাজু, বেবি (বর্তমানে মানবপাচার মামলায় জেলে), পারভীন ওরফে প্রিয়ার মা, নাজমা, বৃষ্টি, মনির, রুবেল, শান্ত, ধলপুরের আক্সগুরি, সিপু, রনি, কবির, ইউসুফ, সোবাহান, চায়না বাবুল, জসীম, সুমি, রতনসহ একাধিক নারী পাচারকারীদের সক্রিয় সদস্য। ঐ সকল ফ্ল্যাট বাসায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠিত মেয়েদের বশীভূত করে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে করাচ্ছে দেহ বাণিজ্য। প্রতিটি মেয়ের পরিবারের সদস্যরাও জানেন না তাদের আদরের মেয়েটি কোথায় কি অবস্থায় রয়েছে। প্রতিটি মেয়েদের যাত্রাবাড়ীর ওই সকল ফ্ল্যাটবাসায় ও হোটেলগুলোতে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করিয়ে বেশ কিছুদিন পর নারী পাচারকারীরা বিক্রি করে দেয় বহিরাগত রাষ্ট্রসহ দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে। সেখান থেকে আর কোন দিনও ফিরে আস্তে পারে না নারী পাচারকারীদের খপ্পরে পরা পতিতালয়ে পাচার হওয়া মেয়েরা। অন্ধকার আর প্রতিনিয়তই পাশবিক নির্যাতনে কাটে তাদের জীবন। এসকল বিষয়ে দায়িত্ব অবহেলা ও চিহ্নিত নারী পাচারকারীদের আটকের পর উৎকোচের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে স্থানীয় থানার ওসি অবনী শংঙ্কর কর এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং পুলিশের উর্ধ্বতন মহলে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্তেও এখনো বহাল রয়েছে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর কর। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোন ব্যবসা করতে হলেই থানার ওসি অবনী শংকর করকে সাপ্তাহিক অথবা মাসিক পেমেন্ট দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। সূত্রে আরো জানা যায়, বেশ কিছুদিন ওসি অবনী শংকর কর যাত্রাবাড়ী থানায় বহাল থাকার কারনে উক্ত এলাকার সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এমনকি ওসির চাঁদা আদায়ের স্পটগুলোও পরিচিত হয়েছে। সাবেক ওসি রফিকুল যাত্রাবাড়ী থানায় থাকা কালীন সময়ে অবনী শংকর যাত্রাবাড়ী থানায় ওসি (তদন্ত) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় থেকে তিনি উক্ত স্পট থেকে মাসোয়ারা আনতেন এমনটাই জানান এলাকাবাসী। তারা আরো জানান, ওসির চাঁদাবাজির কারনে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর কর এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি (এস.বি), অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি), মহাপরিচালক (এনএসআই) বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর কর ও বিএনপির সমর্থিত চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন (পিওর কস্তা) যাত্রাবাড়ী জালাও পোড়াও কাজের আর্থিক যোগদানদাতা আশু কন্টেক্টার ও রমজান খানদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি আল-আমিন। তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঢাকার বিভাগীয় প্রাক্তন জেলা প্রসাশক স্মারক নং- জেঃপ্রঃঢঃ/এল.এ.বি-৪/২০০৮-১০৮৭। কিন্তু প্রত্যাশী সংস্থা চুড়ান্ত প্রাক্কলনের অর্থ জমা প্রদান না করায় প্রকল্পভুক্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চুড়ান্তভাবে অধিগৃহিত হয়নি। এমতাবস্থায় প্রস্তাবিত জমি চুড়ান্তভাবে অধিগ্রহণ না হওয়ার অপর কোন সংস্থার অনুকুলে হস্তান্তরে আইনগত জটিলতা সুষ্টির সম্ভবনা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয় বলে সাবেক জেলা প্রসাশক মতামত প্রদান করেন। পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর যুগ্মসচিব এপিডি মহিবুল হক প্রাক্তন জেলা প্রসাশক  স্মারক নং-০৫. ৪১.২৬০০. ০৪৭. ০৬. ০৭৫. ১২-১২৯১ তারিখ-১৬/১০/২০১২ ইং তারিখ মহোদয়ের সূত্র স্মারকের প্রেক্ষিতে দফাওয়ারী জবাব নিম্নে প্রদান করা হলঃ দফা-কঃ লিখিত আকারে দখল দেওয়া হয়নি। দফা-খঃ গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। দফা-গঃ চুরান্ত এওয়ার্ড তৈরী করা হয়নি। দফা-ঘঃ ১৪/৬৭-৬৮ নং এল এ কেসভূক্ত আলোচ্য ০৩ রিট পিটিশন চলমান এবং রিট পিটিশন মহামান্য হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ বিদ্যমান। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজি-১ শেখ ইউসুফ হারুন প্রাক্তন জেলা প্রসাশক স্মারক নং-০৫.৪১.২৬০০.০৩৫.১৪.০০১-১৩-২৬২ তারিখ-২৪/০৩/২০১৩ তারিখে ১৪/৬৭-৬৮ এর ভূমি চুরান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ করা হয়নি এবং গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে বর্নিত ভূমির দখল মৎস্য অবতরন সংরক্ষণ ও বিপনন কেন্দ্র বরাবরের হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হবে মর্মে এ কার্যালয় হতে ইতিপূর্বে বেশ কয়েক বার বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএফডিসি) জানানো হয়েছে এবং এ বিষয়টি ভূমি মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়। এ প্রেক্ষাপটে বিএফডিসি কর্তৃক এ কার্যালয় হতে তাদের অনুকুলে দখল হস্তান্তরের দাবীর বিষয়টি কোনরূপ সত্যতা নাই। ওই স্মারকে বলা হয়, কেননা এ সংক্রান্ত কোন অফিস আদেশ/ আনুষ্ঠানিক দখল হস্তান্তর কখনও সম্পাদিত হয়নি/জারী হয়নি। নিন্ম দাগের ভূমি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সজস/৩/১এল-১/২০০৭ (অংশ-১)-৬৭৯ নং স্মারকে উল্লেখ করে। এল আর ৪২০/০৭ (৬৯)-৪০৬-এম আই এস নং স্মারক পত্রের প্রেক্ষিতে জানা যায় আলোচ্য ভূমি সওজ এর প্রয়োজনে লাগবে না। আল আমিন অভিযোগে উল্লেখ করেন, মহামান্য হাইকোর্টে দুইটি মামলা যাহার নং-৪২২৫/২০১০ এবং ৯১৯৬/২০১১ চলমান থাকাবস্থায় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর কর তাহার ধর্মীয় ভাই বুলু বাবু কর ও বিএনপি জামায়াতের আর্থিক যোগানদাতাকারী রমজান খানকে আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়। তিনি অভিযোগে আরো বলেন, বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে ওসি যাত্রাবাড়ী অবনী শংকর কর তাস, জুয়া, কেরামবোর্ড, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসা করার অনুমতি দেয়। তিনি অভিযোগে এও বলেন, রমজান খানকে নিয়ন্ত্রন করে আশরাফ উদ্দিন আশু কনটেকটার। সে নিয়মিত বি-চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ রাখে ও বিএনপি সমর্থিত বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। রাস্তা-ঘাট নির্মাণের কাজ দেখাইয়া সিটি করর্পোরেশন ও রোডস এন্ড হাইওয়ে থেকে কোটি কোটি কোটি টাকা টাকা আত্মসাৎ করে বিএনপির ভাইস চেযারম্যান তারেক রহমানকে চালায় এবং ওসি অবনী শংকর করকে লাইনম্যান হিসাবে ব্যবহার করে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করেন আল-আমিন। সরকারের বিঘায় বিঘায় সম্পত্তি মালিক সমিতির সভাপতির নাম দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন আশু কনটেকটার ও রমজান খান। মালিক সমিতির সেক্রেটারী আলী হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পোল্ডার সড়কে দুই-তিনশত মাছের ডালা বিছিয়ে এবং ফ্লাইওভারের নীচে ফুটপাত বসিয়ে প্রতিজন থেকে ওসি অবনীর নামে ১৫০ টাকা করে উত্তোলন করেন। যাত্রাবাড়ী মাছ বাজার এলাকায় মোনায়েম হোসেন হাওলাদার ওসি অবনীর লাইনম্যান ও সোর্স প্রতিটি মালবাহী ট্রাকগুলোতে গোলকৃতি স্টিকার লাগিয়ে মাসে ১০০০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে ওসি অবনী শংকর কর ও ডেমরা জোনের এসি ট্রাফিক আলমগীর হোসেনকে দেন মর্মে জানা যায়। এ ছাড়াও মোসাঃ সামসুন্নাহার এর পিটিশন মামলা নং-৭১৯/২০১৫ এ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট ঢাকা এর আদালতে আদেশ দেন ১৩/৯/১৫ তারিখ দরখাস্তকারী মোসাঃ সামসুন্নাহার ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারা বিধান মোতাবেক আবেদন করেছেন। দেখলাম । শুনলাম। আরজি পর্যালোচনা করা হলো। বাদী জানায় তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে ২য় পক্ষ জবর দখল করতে চায়। এ অবস্থায় ওসি যাত্রাবাড়ী থানা নালিশী সম্পত্তিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখবেন এবং ধার্য্য তারিখের মধ্যে দখল বিষয়ে প্রতিবেদন দিবেন মর্মে আদালত নির্দেশ দিলেও কিন্তু ওসি অবনী শংকর কর তা অমান্য করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে ওই জমি দখল করে দিয়ে বিভিন্ন অপর্কম পরিচালনা করে আসছে এবং মোটা অংঙ্কের উৎকোচ ও মাসোয়াহারা নিচ্ছেন। ওসির নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে যাত্রাবাড়ী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ পিতাঃ মোখলেছুর রহমান, কুতুবখালীর নাসির উদ্দিন, দক্ষিন যাত্রাবাড়ী আশরাফ, দক্ষিন যাত্রাবাড়ী তারা, দক্ষিন যাত্রাবাড়ী মিলন পিতাঃ হাবিব@ হাইবা , দক্ষিন যাত্রাবাড়ী ইলিয়াস ওরফে ডিমওয়ালার পোলা ইলিয়াস পিতাঃ ডিমওয়ালা, বিএনপির অর্থ জোগানদাতা রমজান খান পিতাঃ রাজ খানসহ আরো অনেকে। এদের অপকর্ম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর অভিযোগ দেয়ার কারনে অভিযোগকারীকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হুমকি দেন নানা অপকর্মের হোতা যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অবনী শংকর কর। এমনকি বিভিন্ন স্থান সহ যাত্রাবাড়ী এলাকার তারই লালিত পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একাধিক মামলা করেছেন অভিযোগকারী আল আমিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও জামায়েত শিবিরের দোসর রমজান খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে যান এবং বিএনপি করেন না বলে অস্বীকার করেন। তবে তার এ অস্বীকার আমাদের কাছে পরিস্কার যেতিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় সব ধরনের অপকর্ম করে বেড়ান। তার এ অপকর্মে শেল্টার দিচ্ছে বিএনপির নেতা আশরাফ উদ্দিন আশু কনটেক্টার। সম্প্রতি ওসি অবনীর বদলী ঠেকাতে অর্থ কোটি টাকা ব্যায় করার সম্পূর্ন টাকা সন্ত্রাসী রমজান ও আশু কনটেক্টার দিয়েছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চত করে।
                                                অনুসন্ধান চলছে…

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস