সাড়ে চার বিলিয়ন বছর, হে ক্ষুদে নক্ষত্রকণা


sajeeb,junayed,zunayed,juwel

সাড়ে চার বিলিয়ন বছর, হে ক্ষুদে নক্ষত্রকণা

ছোট গল্পরূপী, ঘাসের শাদা ফুলরূপী, তোমার কানের দুলরূপী, আগুনরঙা চুলরূপী, সাঁঝবিকেলের মাঝরূপী, পানকৌড়ির ডুবরূপী, একেকটা অপার কষ্ট। ওরা ছুটছে যেন কোথায়, ওদের কার সাথে যে ছন্দ, ওদের নিত্য দেখা যায়, ওদের ভেতরটা খুব বন্ধ।
তোমার বুকে বিঁধেছে ওটা কি? তোমার চোখ থেকে ঝরছে বলো কি? তোমার হাতে লালরঙা ওসব কি? তুমি কাঁদছো কেন মেয়ে, তোমার নামটা বলো তো কি? তোমার দুঃখটা যেন কি? তোমার হৃদয়টা চায় কি?
ও, তাই? ওটা ছুরি? বাব্বাহ, খুব বাহারি নকশা কাটা বাঁটে। ঝরে অশ্রু? দারুণ, তুলছে ছবি ফুটিয়ে ললাটে। ওসব রক্ত? সুন্দর, ঠিক যেমন পলাশ ফুটে বৈশাখে। নাম নেই? অদ্ভুত। বহুরূপী প্রভুর তুমি রইবে খুব নিকটে। দুঃখ নেই? অনন্য, তোমার পাথর কেন পকেটে? হৃদয়ও অকেজো? অসাধারন, তুমি ধন্য মেয়ে বটে।
ছুরির বাঁটটা দ্যাখো। এটা চিনতে কি পারো আজ? এটা বসিয়েছিলে কোথায়? মনে করতে কি পারো আজ? অশ্রুআঁকা ছবি, আজ পাচ্ছো কি খুব কষ্ট? আমার অশ্রু ফুরিয়ে গেছে, হয়ে দুইটি চোখই নষ্ট। আজ হৃদয় শুধু সেঁচে, শুদ্ধ আর অশুচি রক্ত। সে ভুলেই গেছে কবে, ছিল আরেকটা দায় পোক্ত।
আজ হারানো সুরে বাজে, এক হারিয়ে যাওয়া কলি, শোন মেয়ে তোমাকেই বলি, জীবন নয়তো কঠিন কিছু, আর নয় মরিচীকার পিছু, কেমন?
হারিয়ে গেছে যা যাবার, যা কখনও না পাবার, খুঁজে দ্যাখো কে অপেক্ষা করছে আবার। যা তুমি করো না ব্যবহার, জেনো তা শুধুই হারিয়ে যাবার।
হৃদয় অকেজো হলেও আছে, ওটাকে লাগাও আবার কাজে। হয়তো ছোট্ট একটা পুশ, ঘটাবে ছন্দপতনে অ্যামবুশ। হয়তো পাবে তুমি খুঁজে, যার আশায় লড়েছো চোখ বুজে, সাড়ে চার বিলিয়ন বছর, হে ক্ষুদে নক্ষত্রকণা, এবার পড়ুক তোমার আছর, সেই ছেলেটার চোখে-মুখে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস