আমার স্বপ্নগুলো…

junayed,sajeeb,somir,juwel,জুনায়েদ সজিব,ছমির,জুয়েল
সজীব 

 আমার স্বপ্নগুলো…

পরিবর্তন। হ্যা আমরা সবাই মিলে পরিবর্তন ঘটাতে পারি। কিন্তু সেটা কিসের পরিবর্তন এবং পরিবর্তনটি পজিটিভ হবে না নেগেটিভ হবে সেটা আমাদের ই ঠিক করতে হবে।একটি সুন্দর ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা মানুষকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারে , দিতে পারে নির্মল ও চিরন্তন হাসি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপরাধ আর অন্যায় চিন্তার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে পড়েছে। আমিত্বের কাছে আজ সব অসহায়। আমরা আত্মতুষ্টি নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। মানবতা আজ অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী। ঠিক এমনি সময়ে শোনা যাচ্ছে পরির্তনের আহ্বান।
পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে ই হবে না নিজেদের মধ্যে সেই পরিবর্তন আগে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে, আমিত্বের বন্ধন ছিন্ন করে হাত খুলে সবাইকে আপন করে নিতে হবে। আমিত্বের শৃংখলে আবদ্ধ না থেকে আমাদের জীবনের সফলতার মাপকাঠির মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। একটা মিশনকে সফল করতে একজন ব্যক্তিত্বপূর্ণ ও ত্যাগী মানুষ ই যথেষ্ঠ।
প্রথমে যেগুলো প্রয়োজন-

১) ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করতে হবে।
২) সুনাম অর্জনের লক্ষ্য থাকা যাবে না।
৩) শুধুমাত্র মানুষের কল্যাণ চিন্তা করতে হবে।
৪) সববিষয়ে মতৈক্য থাকতে হবে।

আমার প্রস্তাবনা-
যেসব বিষয়ে কাজ করা যেতে পারে।
১) মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা যেতে পারে।
২) বিভেদপূর্ণ সমাজে শান্তির বীজ বপনের জন্য কাজ করা যেতে পারে।
৩) সমতাপূর্ণ একটি স্বাস্থ্যবান সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সমাজের অবহেলিত অংশকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি শিশুদের যোগ্য গড়ে তুলতে অবৈতনিক আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা যেতে পারে।
৪) বখাটেপনা রোধে স্থানীয় তরুণ সমাজকে নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।

সবগুলো কাজ একসাথে করা যেতে পারে।
কিভাবে?
আমার প্রস্তাবনা-
আমরা সোশাল বিজনেস ও সমবায় বিজনেস এর থিওরী কাজে লাগাতে পারি। তবে এখানে উদ্যাক্তাদের ব্যক্তি স্বার্থের অনুপস্থিতি থাকা আবশ্যকীয়।কারন ব্যক্তি স্বার্থের উপস্থিতি মানে ই হলো দ্বন্দ্ব ও উদ্যেক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও সম্পদ আহড়নের মনোভাব বৃদ্ধি যা মানুষের কল্যাণের চিন্তাকে বাধাগ্রস্থ করবে। আমরা উতপাদনমুখী একটি সম্প্রদা্য় সৃষ্টি করতে পারি যারা কিনা হবে সমাজের অবহেলিত মানুষেরা-
১) আমরা কিছু অবহেলিত মানুষকে কোন একটি সেক্টরের উপর ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করতে পারি। যারা হবে সেই বিষয়ের উপর দক্ষ।
অবহেলিত মানুষ যারা তিনবেলা খেতে পারেনা।
২) যে বিষয়ের উপর দক্ষ করা হবে সেটির উপর উতপাদনমুখী একটা প্রজেক্ট দাড় করানো।
৩) সে প্রজক্টের মূলধন হবে পরিবর্তনে আগ্রহী নিঃস্বার্থ ও কল্যাণকামী মানুষের টাকা থেকে।
৪) লভ্যাংশের কিছু অংশ ব্যয় হবে অবহেলিত শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে। আর কিছু অংশ ব্যায় হবে মানুষদের স্বাস্থ্য খাতে।
৫) যে প্রতিষ্ঠান দাড় হবে সেটির মালিক হবে সমাজের সেই অবহেলিত মানুষ এবং শিশুরা।

ফলঃ
অবহেলিত মানুষেরা নিজেদের স্বাবলম্বী ভাবতে শিখবে। তাদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের বিকাশ হবে। শিশুরা আধুনিক শিক্ষা ও স্বা্স্থ্য সুবিধা পাবে। পাশাপাশি সমাজের একটি অংশ উতপাদনমূখী হবে। এবং আরো কর্মসংস্থান তৈরী হবে। সবাই নিজের প্রতিষ্ঠান ভাবতে পারবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস