বস্তু ও পরাবস্তু বিষয়ক ভাবনা (পর্ব ২)

জুনায়েদ, junayed,zunayed,sajeeb

বস্তু ও পরাবস্তু বিষয়ক ভাবনা (পর্ব ২)


আগেই বলেছি পদার্থবিজ্ঞানে একটা সূত্র আছে- ‘একটি বস্তু একই সঙ্গে দুটি স্থান দখল করতে পারেনা।‘ এর মানে হল একই ধরনের বস্তু বা অভিন্ন একটি বস্তু একই সময়ে দুই জায়গায় থাকতে পারেনা। বস্তুজগতে যে আপনি আছেন, একই সময়ে পরাবস্তুজগতে আপনি থাকতে পারবেন না। এই সূত্রটি খাটছে তাহলে অভিন্ন একটা বস্তুর ক্ষেত্রে, ভিন্ন বস্তুর ক্ষেত্রে নয়। তাহলে কি দাঁড়ায়- বস্তুজগতে যে আমি থাকি আর পরাবস্তুজগতে আপনি আছেন- দুজন কি একই জিনিস না? Same but same characteristics না। সুত্রের ক্ষেত্রে ‘একটি বস্তু’ বলতে একই ধর্মের অভিন্ন বস্তুর কথা বলা হয়েছে।
আগে বলেছিলাম একটা কথা- মাঝে মাঝে অনেকে দাবী করেন তারা অমুক মৃত ব্যাক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন। তখন আলোচনার অবস্থানের নিমিত্তে টা হেলুসিনেশন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন এটা সঠিক বলে মানতে আমি রাজি। কিন্তু কেন? এটা জিজ্ঞেস করার অধিকার আছে আপনার। কারনটা হল ঐ যে সূত্র কি বলে- ‘‘একটি বস্তু একই সঙ্গে দুটি স্থান দখল করতে পারেনা।‘ সূত্র যদি সত্য হয় তাহলে তারা যা দেখেছেন তা সত্য। তারা তো আর তাদের মত কাউকে দেখেননি, দেখেছেন মৃত ব্যাক্তির আত্মা মানে পরাবস্তুকে। এই ঘটনা কখন ঘটে? যখন Parallel Universe এর মত ঘটনা ঘটে। এখন হয়ত আপনার মনে প্রশ্নের উদয় হচ্ছে এটা আবার কি? তাহলে বলি- বস্তুজগত আর পরাবস্তুজগত যখন একই সময়ে সমান্তরালে অবস্থান করে তখন এই জাতীয় ঘতনার উদ্ভব হয়। তখন পরাবস্তুজগতকে বস্তুজগতের সাপেক্ষে Parallel World বলে। আর উভয়ে মিলে তৈরি করে ‘Parallel Universe’। তাদের জগত আর আমাদের জগত সমান্তরালে আসে বলেই আমরা হঠাৎ তাদের দেখা পেয়ে যাই। আগে বলেছিলাম পরাবস্তুজগত হল মাত্রাহীন, তাহলে কিভাবে আমরা তাদের দেখতে পাই? প্রকৃতপক্ষে যখন বস্তু ও পরাবস্তুজগত Parallel এ চলে আসে তখন পরাবস্তুর উপর উপরিপাতিত হয়। সোজাসাপটাভাবে বললে Projection বা প্রতিবিম্বের মত জিনিস create করে। এজন্য মাত্রাহীন পরাবস্তুকে আমরা তখন মাত্রাসহ দেখতে পাই। অবশ্য সবাই পারেনা। পরাবস্তু বস্তুজগতের উপর সমান্তরালে অবস্থানকালে বস্তুজগতের উপর একটা যখন effect field (প্রভাবক্ষেত্র) create করে। এই field এর আশেপাশে যারা থাকে তারাই কেবল পরাবস্তুদের দেখতে পায়। বাইরে যারা থাকে তারা পায় না। আর এজন্যই তাদের কথা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধর্মগ্রন্থ হতে পাওয়া angel, djin, fairy ইত্তাদির নাম আমরা শুনেছি। কেউ বিশ্বাস করি, কেউ কেউ করি না! মাঝে মাঝে শোনা যায় জীন কারো উপর আছর করেছে অথবা পরী ধরে নিয়ে গেছে। আসলে main জিনিসটা হল জীন, পরীর সাথে তার Link স্থাপন হয়েছে। জীন বলেন, পরী বলেন সবই হল পরাবস্তু। তারা বস্তুজগতের বাসিন্দা নয়। আর এই কারণে আমরা তাদের দেখি না। বস্তুজগতের বাসিন্দার সাথে পরাবস্তুজগতের বাসিন্দার যোগাযোগের একমাত্র উপায় হল- Parallel Universe এর ঘটনা ঘটা। দেখা যাবে, যে বস্তুর উপর জীনের আছর পড়েছে সে তার effect field এর under এ পড়ে। সোজাভাবে বললে বস্তুর অবস্থান পরাবস্তুর অবস্থানের সমান্তরালে আছে। এ কারণে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ঘটে। প্রভাবিত ব্যাক্তিই কেবল দেখতে পায়, আমরা পাই না।

*সম্পূর্ণ নিজস্ব চিন্তাধারায় লেখা। এইরকম কিছু আগে কেউ ভেবেছিল কিনা জানিনা কিন্তু আমি মনে করি আমিই সর্বপ্রথম।*
——[Please do not use this writing without my permission]——-

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস