বস্তু ও পরাবস্তু বিষয়ক ভাবনা (পর্ব-৩)

ছমির,জুনায়েদ,জুয়েল, সজীব ,samir, zunayed , junayed, sajeeb
Sajeeb

বস্তু ও পরাবস্তু বিষয়ক ভাবনা (পর্ব-৩)

১ নং পর্বের শেষভাগে একটা কথা বলেছিলাম- আমাদের মানুষদের ক্ষমতা পরাবস্তুজগতে, কিন্তু আমরা তা জানি না। বস্তুজগত নিয়ে আমরা মেতে আছি। একটা কথা কি বিশ্বাস করেন- আমরা যদি পারি তাহলে পরাবস্তু সৃষ্টি করতে পারি! অনেকে বলবেন- এটা অসম্ভব। আমি বলব- এটা অবশ্যই সম্ভব। আমাদের মানুষের রয়েছে চিন্তা ও অকল্পনীয় কল্পনা করার ক্ষমতা, তা কিন্তু বস্তুজগতের অন্য কোন বস্তুর নাই। এই কল্পনা দিয়ে কি আমরা একেকটা জগত সৃষ্টি করতে পারি না? পারি। আপনি যদি এক্তু কল্পনা করে দেখেন দেখবেন আপনিও একেকটা জগত সৃষ্টি করে ফেলেছেন! বস্তুজগতের অনেক কিছুই কিন্তু আপনি স্বপ্নে দেখেন। স্বপ্নের সাথে কি বাস্তবের মিল আছে? নাই। বাস্তব বলতে বস্তুজগতকে বুঝিয়েছি এখানে। স্বপ্নে বা কল্পনায় পারলে আপনি নতুন একটা জগত সৃষ্টি করতে পারেন। যেখানে আপনি আছেন এবং আপনার চিন্তায় প্রভাব ফেলা মানুষগুলো আছে আপনার পাশে। যেমন এখন আপনি কল্পনা করছেন ‘আপনি সমুদ্রতটে হাঁটছেন। রবি ঢলে পড়েছে পশ্চিমদিকে। সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। সে শব্দ আপনি শুনছেন। একটা বিমান আকাশ দিয়ে উড়ে গেল। যে বিমানটা একটু আগেও ছিল না সেটা চলে এসেছে আপনি বিমানের কথা কল্পনা করেছেন বলেই। পিছনের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আপনি যেটা দেখতে চাইছেন সেটাই পারছেন- পাহাড়-পর্বত দেখতে চাইলে দেখছেন, তার জায়গায় পারলে শহর বসিয়ে দিতে পারছেন।’ বলতে গেলে ইচ্ছেমত আপনি কল্পনা করতে পারছেন। আপনি যে কল্পনা করছেন তা-কি সময় ধরে ধরে করছেন? না। আপনি যখন কল্পনা করেন তখন সেখানে সময় থাকে অনুপস্থিত। মনে হয় যেন অফুরন্ত সময় আছে কিংবা সময় স্থির। তাই না? আপনার কল্পনার বস্তুগুলো বাস্তবে থাকলেও আপনি তাদের নিয়ে গেছেন নিজের কল্পনাতে। তাই সেগুলো বাস্তব হলেও প্রকৃতপক্ষে বাস্তব নয়! পরাবাস্তব বলা যায়। তাহলে আপনি কি একটা জগত সৃষ্টি করলেন না? পরাবাস্তব জগত। এই যে ক্ষমতা তা একমাত্র মানুষই পারে। বস্তুজগতে অবস্থান করে পরাবাস্তব জগতের কল্পনা করা।
একটু সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করুন তো, এই যে আপনি বসে বসে সম্পূর্ণ নিজস্ব কল্পনায় আরেকটা জগত তৈরি করে ফেললেন যা বস্তুজগতে অবস্থান করে। ঐ জগতে কিন্তু আপনি নিজেকে কল্পনা করেছেন,(চাইলে পারেন, না চাইলে থাকবেন না)। তার মানে কি দাঁড়ায়- কল্পনার পরাবাস্তবজগতে যেমন আপনি আছেন, তেমনি বাস্তব জগতেও আপনি আছেন! হোক না সেটা কল্পনার তারপরেও তো সেটা আপনি বা আপনার Projection. তাহলে এক্ষেত্রে তো সূত্রটা মিথ্যে হয়ে গেল। বস্তুটা হলেন আপনি, একই সময়ে একইসঙ্গে দুইটা স্থান দখল করলেন!
যখন বস্তুজগত আর আপনার (কল্পিত) পরাবাস্তব জগত সমান্তরালে আসবে তখন কি ঘটবে? ভেবে দেখেছেন। আপনি দরজার এপারে দাঁড়িয়ে আর ওপারে আরেকজন আপনি। একটু চিন্তা করে দেখুন তো! মাথায় জট পাকিয়ে যাচ্ছে নিশ্চয়ই। চিন্তা করতে পারছেন না। সারা শরীর শিহরিত হয়ে উঠছে। সেটাই স্বাভাবিক। নিজের সাথে নিজের দেখা হওয়ার ঘটনাটা কেমন? খুবই আনন্দের কোন ব্যাপার কি? না, আনন্দের কোন ব্যাপার না। এর বেশি কিছু আমরা কল্পনাই করতে পারি না। পরাবস্তুজগত জিনিসটা এরকমই। বেশি কিছু কল্পনা ও চিন্তা করা যায় না। আর বেশি চিন্তা করব কিভাবে? ঐ যে আগেই বলেছিলাম- আমাদের মূল ক্ষমতা পরাবস্তুজগতে, আর আমরা মেতে আছি বস্তুজগত নিয়ে।
                                  “Everybody is very much
                                     Enjoying in this short-timed world
                                      But nobody know-
                                       My destiny is next world.”   
*সম্পূর্ণ নিজস্ব চিন্তাধারায় লেখা। এইরকম কিছু আগে কেউ ভেবেছিল কিনা জানিনা কিন্তু আমি মনে করি আমিই সর্বপ্রথম।*
——[Please do not use this writing without my permission]——-

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস