এটি কোন সাফল্যগাঁথা নয়। এটি নতুন কিছু শেখার, অধ্যবসায় এবং জয় করার এক অদম্য ইচ্ছার গল্প।

১৯৯২ সালে একটি ছেলে তার মায়ের সাথে ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে গিয়ে সৌসাল সাপোর্ট প্রোগ্রামের আওতায় দুই বেডরুমের ভাড়া বাসায় জীবন সংগ্রাম শুরু করে। সে একটি গ্রোসারি দোকানে মেঝে পরিষ্কার করার কাজ করতো আর তার মা বেবি-সিটিং করতো। ১৮ বছর বয়সে ছেলেটি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ আগ্রহী হলো। প্রোগ্রামিং, কোডিং এবং নেটওয়ার্কিং শেখার জন্য সে পুরাতন বইয়ের দোকান থেকে বই ভাড়া করে পড়ার পর আবার ফেরত দিত। শুরুটা এভাবেই হয়েছিল।
.
তারপর সে San Jose State University'তে ভর্তি হলো এবং পাশাপাশি একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা নিরীক্ষণের কাজ করতো। ১৯৯৭ সালে Yahoo তে তার চাকরি হয় এবং সেখানে সে ১০ বছর চাকরি করে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে সে এবং তার এক বন্ধু ইয়াহুর চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজেরাই একটা ব্যবসা করার পরিকল্পনা করে। এক বছর কঠোর পরিশ্রমের পর তারা বুঝতে পারলো যে, তাদের ব্যবসাটা সফল হচ্ছে না। তাই তারা আবারো চাকরীর খোঁজে নামলো। এই সময় তারা Facebook'এ চাকরীর জন্য চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ফেসবুক তাদের নিল না।
সময়টা খুবই খারাপ ছিল।  স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছিলো। পকেটে টাকা নেই, হাতে কোন কাজ নেই, ব্যবসাতেও ব্যর্থতা। ভেঙে পড়ার আগে তারা একটা শেষ চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিল। অবশেষে ২০০৯ সালে তারা একটা এপ তৈরী করলো, যেটি ২০১৪ সালে তারা ফেসবুকের কাছে ১৯ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করলো। সেই এপ'টির নাম WhatsApp, আর ঐ ভেঙে না পরা মানুষ দুইজন হচ্ছেন- Jan Koum এবং Brian Acton।
.
এটি কোন সাফল্যগাঁথা নয়। এটি নতুন কিছু শেখার, অধ্যবসায় এবং জয় করার এক অদম্য ইচ্ছার গল্প। 
.
মন থেকে করতে চাইলে যেকোনো কিছুই সম্ভব!  Isn't it?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

PC Based MikroTik Router OS Installation

থাই লটারি কিভাবে খেলবেন

লটারি জেতার কার্যকরী কৌশল জানেন কি?টিপস ও ট্রিকস