ট্রাম্পের বিতর্কিত ১৬ বয়ান
ট্রাম্পের বিতর্কিত ১৬ বয়ান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার আগে থেকেই সবার নজর কেড়েছেন বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেই মূলত তিনি মনযোগ আকর্ষণ করেছেন।
তার বক্তব্য ও মন্তব্যে মানুষ হেসেছে, কেঁদেছে, বিব্রত হয়েছে। তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, অন্যান্য বিরোধী, সেলিব্রেটি, টিভি ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী, মুসলিম এবং অভিবাসী।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণের বাকি আর মাত্র একদিনেরও কম সময়। আরেকবার স্মরণ করা যাক ট্রাম্পের সেইসব বিতর্কিত বক্তব্য:
১. নারীদের বিষয়ে
বুঝলেন, মিডিয়ায় কী লেখা হলো না হলো সেটা কোনো ব্যাপারই নয় যদি আপনি একটা কচি এবং সুন্দর ‘পিস অব অ্যাস’ পেয়ে যান।
২. রিপোর্টারকে যৌন হয়রানি
২০০৫ সালে একবার এক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক সাক্ষাৎকার নিতে এলে ট্রাম্প নাকি তাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে চুমু খেয়েছিলেন। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ১৩ অক্টোবর ফ্লোরিডায় নির্বাচনী সমাবেশে তিনি বলেন, কেন যে তারা ওই বিষয়টাকে প্রতিবেদনের মধ্যে ঢুকালো না?...তাহলে কিন্তু সেটা হতো বছরের সেরা প্রতিবেদনের একটি!
৩. লকার রুম টক
অনুমতি ছাড়া এক নারীর গায়ে হাতড়ানো এবং চুমু খাওয়ার রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ওটা বন্ধ ঘরের আলাপ (লকার রুম টক)।
৪. নিজেকে সুদর্শন দাবি
প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কের সময় সেক্সিস্ট মন্তব্য করার কারণে অনেকে নিন্দা জানালে তার জবাবে ট্রাম্প আগস্টে এক নির্বাচনী সমাবেশে বলেন, সামনা সামনি আমাকে এভাবে আক্রমণ করাটা ওদের জন্য খুব কঠিন হবে কারণ, আমি দেখতে অনেক সুন্দর!
৫. কারণ তাহলে তুমি জেলে যেতে
৯ অক্টোবরে দ্বিতীয় প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কে ট্রাম্প বলেন, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করার কারণে ক্লিনটনের বিচার করতেন।
জবাবে হিলারি বলেন, খুব ভালো হয়েছে যে, ট্রাম্পের মতো মনমেজাজের লোক দেশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নেই।
তখন ট্রাম্প বলেন, কারণ, তুমি তাহলে জেলে থাকতে।
৬. ওবামা আইসিসিসের প্রতিষ্ঠাতা
আগস্টে ফ্লোরিডায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আইসিস প্রেসিডেন্ট ওবামাকে সম্মান দেখিয়ে চলছে। তিনি এদের প্রতিষ্ঠাতা। এবং আমি বলতে চাই, তার কূটিল সহপ্রতিষ্ঠাতা হতে পারতেন হিলারি ক্লিনটন।
৭. হিলারির দেহরক্ষীদের নিরস্ত্র কর
বন্দুক নিয়ন্ত্রণের পক্ষে হিলারি বক্তব্য দেয়ার পর ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, তার দেহরক্ষীদের অস্ত্র ফেলে দেয়া উচিত। তাদের নিরস্ত্র করা উচিত। তখন দেখুন তার কী হয়, এটা খুব বিপজ্জনক হবে।
৮. মিট তুমি হাঁটু গেড়ে বসো
২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির বিষয়ে গত ৩ মার্চ ট্রাম্প বলেন, আমি তাকে সমর্থন দিয়েছিলাম। তুমি বুঝতে পারবে সে কেমন আমার অনুগত। সে আমার সম্মতি প্রার্থনা করছিল। আমি তাকে বলতে পারতাম, মিট, তুমি হাঁটু গেড়ে বসো। সে কিন্তু সেটাও করতো।
৯. যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষিদ্ধ
২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর নিজের ওয়েবসাইটে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসব লোক জিহাদ ছাড়া কিছুতে বিশ্বাস করে না। আমাদের দেশকে এদের হামলার শিকারে পরিণত হতে দিতে পারি না। তাদের মানুষের জীবন সম্পর্কে কোনো ধারণা ও সম্মান নেই।
১০. টুইন টাওয়ার হামলা
৯/১১ এ টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আমি জার্সি সিটি, নিউ জার্সিতে দেখছিলাম, হাজার হাজার মানুষ ভবনটি ধসে পড়া দেখে উল্লাস করছিল।
১১. মেক্সিকান অভিবাসী
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো যখন তাদের লোকদের এখানে পাঠাচ্ছে তখন কিন্তু তাদের সেরা লোকটিকে পাঠাচ্ছে না...এরা নিয়ে আসছে মাদক, নিয়ে আসছে অপরাধ, তারা ধর্ষক...।
১২. মেজাজই হচ্ছে আমরা সেরা সম্পদ
হুটহাট মন্তব্য করার কারণে সমালোচিত হলেও সব উপেক্ষা করে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পদ হচ্ছে আমার মেজাজ (টেম্পেরামেন্ট)। তার (হিলারি) কোনো মেজাজই নাই!
১৩. রাশিয়াকে উৎসাহ
হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল হ্যাক করতে রাশিয়াকে উৎসাহ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া, যদি তুমি শুনতে পাও, আমি আশা করি তোমরা হারিয়ে যাওয়া ৩০ হাজার ইমেইল খুঁজে বের করতে পারবে।
১৪. মেয়ের সাথে ডেটিং
‘দ্য ভিউ’ এর একটি এপিসোডে ট্রাম্প বলেন, আমি তো বলেছি, ইভাঙ্কা যদি আমার মেয়ে না হতো তাহলে সম্ভবত ওর সাথে ডেটিং করতাম।
১৫. এই হাতের দিকে তাকাও, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি
ছোট মাপের হাতের কারণে সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প একটি নির্বাচনী সমাবেশে হাত বের করে বলেন, এই হাতগুলোর দিকে তাকান। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি এখানে কোনো সমস্যা নে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন